বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বায়োলজি
লজিক ও বেসিক কনসেপ্টের জগতে স্বাগতম
অধ্যায়ভিত্তিক সংগ্রহ করুন
কোর্সে জয়েন করুন
Academic Biology - Full Syllabus (24 Chapter)
Academic Biology - Extended Syllabus (10 Chapter)
আমাদের সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কিছু কথা
Abida Ahamed Shosi
Shaheed Ziaur Rahman Medical College
Assalamualaikum everyone I am a student in 1st batch of the BIOLOGY HATERS online course, which started its journey in May 2020, so far I remember. If I have to say about this course, I want to say it is fantabulous. & How stunning it will be offline! Unluckily I don't have the chance to attend any offline classes for CORONA pandemic. Still proud enough to attach to Rajib Vaia's classes. The most excellent parts are the regular exam, class, result publishing from time to time, and arrangement of gifts for inspiring study. Vaia follows a unique technique that creates a thirst for interest to study. Topics are written overboard to teach precisely, discussing each & everyone by figure and storytelling along with memorizing study for better understanding, showing 3D pictures for clear conception- everything is too much handy for study. Besides study, regular communication, parents motivation, and the careers of doctors are also some parts. Afterward, on the day of the MBBS result publishing, I was informed by our beloved Sufi vaia about my result which is one of the happiest moments of my life. I feel honored and lucky to get attached to BIOLOGY HATERS & thankful to every member working there for whom I like others have a helpful hand to prescribe & serve people.
Md. Isa Bin Makshud Mihan
Dhaka Medical College
আসসালামু আলাইকুম, আমি মোঃ ঈসা বিন মাকসুদ মিহান, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও মা-বাবার দোয়ায় ২০২০-২১ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১০৫ তম অবস্থান অর্জন করে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এ অধ্যয়নরত আছি। আল্লাহ তায়ালা ও মা-বাবার পর এরজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয় আমার সকল শিক্ষক, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের। বিশেষ করে মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতির সময়ে বায়োলজি হেটার্স অর্থাৎ ডা. রাজীব ভাইয়ার অবদান ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। ভাইয়ার ক্লাস, এক্সাম এবং আর্টিকেল এর কোয়ালিটি সম্পর্কে ১ম বর্ষ থেকেই অবগত ছিলাম। কোভিডের সময় গ্রুপে ভাইয়া কিছু ফ্রি ক্লাস ও এক্সাম দিয়েছিলেন। সেই সময়টায় ধারণাটা আরো পাকাপোক্ত হলো। লজিক, গল্প, হিউমার, বেসিক আর শর্টকাট এর মিলনমেলা ছিল প্রতিটি ক্লাসেই। প্রতিটি এক্সামের প্রশ্ন ও ছিল মারাত্নক ইন্টারেস্টিং, শুধু মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে হবে না, বেসিক লজিক জানা আবশ্যক ছিল। সেখান থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যদি কখনো মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি নেই তাহলে বায়োলজি হেটার্সই আমাকে পড়ালেখায় হেটার্স থেকে লাভার বানাতে পারবে, স্পেশালি বায়োলজিতে। এটা বলার কারণ হচ্ছে আমার প্রাথমিক টার্গেট ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট (EEE)। ইন্টার থেকেই বায়োলজি তেমন ভালো লাগতো না, অ্যাডমিশন টাইমে এসেও মনে হচ্ছিল সেই প্রথা বজায় থাকবে। মা-বাবার ইচ্ছায় একটা সময়ে ভাবলাম ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি মেডিকেল এর জন্য প্রস্তুতি নেই, কারণ কোভিডের কারণে হাতে ছিল অফুরন্ত সময়। সাথে সাথে কোনো দ্বিধাহীনতায় না ভুগেই হয়ে গেলাম বায়োলজি হেটার্সের স্টূডেন্ট, ব্যাপারটা অনেকের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আমার জন্য লাইফচেঞ্জিং মেটার ছিল। যে বায়োলজি এর জন্য একটা সময় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল, ভাইয়ার ক্লাস, এক্সাম করার পর সেটাই ধীরে ধীরে আয়ত্তে আসা শুরু করে। বেসিক লজিক শর্টকাট এর মিক্সড ক্লাস, এরপর পুরো অধ্যায় কাভার করা এক্সাম। এক্সাম গুলো এমন ছিল যে ওই প্রশ্নে এক্সাম দিলে পুরো অধ্যায়ের সব ইম্পর্ট্যান্ট লাইন কাভার হয়ে যাবে। শেষের দিকের পুর্নাঙ্গ মডেল টেস্ট+ টিফিন এক্সারসাইজ বুক ছিল গেইমচেঞ্জিং। এক্সামের আগে মডেল টেস্ট আর টিফিন বুক দিয়েই ফাইনাল রিভিশন কাভার হয়ে গিয়েছিল। ইংলিশ ও জিকে এর জন্য দেয়া এক্সাম প্রশ্ন, রিসোর্স গুলো অনেক হেল্পফুল ছিল দিনশেষে একটি ভালো রেজাল্ট। ঢামেক, ১০৫তম। অনেক অনেক ধন্যবাদ পুরো বায়োলজি হেটার্স টিমকে, রাজীব ভাইয়ার পাশাপাশি যারা অবদান রেখেছেন তাদেরও। এখনো মনে আছে টিফিন বই পাচ্ছি না বলে সুফি ভাই, মুহিব ভাই কে কল করে ডিস্টার্ব করার দিনগুলো। বায়োলজি হেটার্স থেকে এক্সপোনেনশিয়ালভাবে প্রতি বছর অনেক অনেক ভবিষ্যত ডাক্তার গড়ে উঠবে এই কামনা করছি। শুভ কামনা ও দোয়া। মোঃ ঈসা বিন মাকসুদ মিহান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (৭৮ তম প্রজন্ম) মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট- ১০৫তম এএফএমসি (লিখিত উত্তীর্ণ) বুয়েট- ২৯৯তম (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ- ৪৭৪ (চুয়েট ইইই) আইইউটি- ১৪৪তম (ইইই) এমআইএসটি- ১৭৪তম
Al Imran
Chattogram Medical College
যখন বায়োলজি হেটার্সের সাথে পরিচয় হলো, তখন আমি রিক্তহস্ত উদভ্রান্ত এক যুবক, যে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে সহায়-সম্বলহীন হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই অজ্ঞতায় অন্ধকার হতে আমাকে টেনে তুলে আলোর দিশা দিয়েছে বায়োলজি হেটার্স। বিএইচ শুধু আমার মাঝে স্বপ্নের বীজই বপন করেনি, বরং পরম যত্নে সেই অঙ্কূরকে পরিণতি দিয়েছে। আজ আমি একজন গর্বিত সাদা এপ্রোনের অধিকারী। এই অধিকারের পিছনে সৃষ্টিকর্তা ও আমার পরিবারের পর সবচেয়ে বেশি অবদান যার, তিনি ডা. রাজীব হোসাইন সরকার। ছাত্রছাত্রীর জীবনের গতিপথ পাল্টে দেওয়ার এক অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন এই মানুষটি। তার এই ক্ষমতা ব্যয় হোক বৃহত্তর কল্যাণে, শতসহস্র দিকভ্রান্ত ছাত্র-ছাত্রী পঙ্গপালের মতো ছুটুক মানবতার সেবায়, এই প্রত্যাশায়!
Md. Mehedi Hasan Ome
Shaheed Suhrawardy Medical College
আসসালামু আলাইকুম। আমি মো: মেহেদী হাসান অমি, পড়াশোনা করছি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২১-২০২২ সেশনে মোট ২৮১.৫ মার্ক পেয়ে ৫১১তম স্থান দখন করি। এখন বায়োলজি হেটার্স নিয়ে কিছু কথা বলা যাক, যা অব্যাক্ত ছিলো এতটা সময় ধরে। আমাদের সময় লকডাউন দেয়ার পর বাসায় আসি, অনলাইনে ঘুরাফেরার টাইমে একটা গ্রুপ দেখি বায়োলজি হেটার্স নামে। তখন মেবি গ্রুপে মেম্বার ছিলো ২০/৩০ K সম্ববত আরো কম। তখন ই মূলত পরিচয় রাজীব ভাই এর সাথে আর সেই উনার বায়োলজি পড়ানোর স্টাইলের সাথে। যখন ওনার কোর্স প্রথম এনরোল করি, তখন ভেবেছিলাম যে কি আর পড়াবেন উনি। আমিতো ঢামেক এর এক ভাই এর কাছে পড়ি, এটাই তো অনেক। উনার মত কি আর হবে নাকি রাজীব ভাই? এই দাম্ভীকতায় আর ভর্তি হইনি। পরে দেখলাম আমারই এক ক্লোজ ফ্রেন্ড ভর্তি হইছে সেই দেখাদেখি আমিও ২য় মাসে ভর্তি হয়ে যাই। আর ট্রাস্ট মি প্রথম ক্লাস টা করেই কেন যেন খুব আফসোস হচ্ছিলো কেন আগে সন্ধান পেলাম না বায়োলজি হেটার্সের। রাজীব ভাইয়ের কাছে না পড়লে বুঝতেই পারতাম না যে "বায়োলজি এভাবেও বুঝে পড়া যায়"। সেই যে মজা পেয়েছিলাম বায়োলজির এখনো মেডিকেলে এসে মিস করি সেই বায়োলজির গুরু রাজীব ভাই কে। মনে হয় ইসস মেডিকেলেও যদি একজন রাজীব ভাই কে পেতাম,,,,,,,,, তারপর থেকে ওনার সবগুলা কোর্সেই ছিলাম প্রায়। কি করবো মজা টা একটু বেশিই পেয়েছিলাম হয়তো। কখন যে ২/৩ ঘন্টার লাইভ ক্লাস শেষ হয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না। এত্ত ভালোভাবে আমাদের বায়োলজি তে রসকস দেখানোর জন্য, মজা দেখানোর জন্য, যুক্তি দেখনোর জন্য রাজীব ভাই এর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। মেডিকেল কোর্সের ব্যাপারে কি আর বলবো। শেষ সময়ে যখন সবকিছু অনলাইনে চলছিলো তখন একমাত্র রাজীব ভাইয়ের বায়োলজি হেটার্সে অফলাইনে এক্সাম দিয়ে নিজের অবস্থান যাচাই করতে পেরেছিলাম। সেখানে প্রতি পরীক্ষায় এভারেজে ১০/১৫ এর মাঝে থাকতাম। কনফিডেন্ট ছিলো যে, মেইন এক্সামের আগে এখানে অফলাইনে যেহেতু এমন কন্ডিশন সেহেতু ইন-শা-আল্লাহ ভালো কোথাও ই চান্স হবে। আর সেটাই হলো আলহামদুলিল্লাহ। ওভারঅল অনেক বেশি লিখা হয়ে গেলো এখানে। চেয়েছিলাম অল্প কিছু লিখবো বাট লিখতেই ইচ্ছে করছিলো। সত্যি বলতে ওভাবে রাজীব ভাইকে কখনো কৃতজ্ঞতা জানানো হয়নি। যেহেতু কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটা সুযোগ পেয়েছি সেহেতু হাতছাড়া করছি না সেটা। জানি ম্যাসেজ টা দেখবেন আপনিও ভাই , আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো ভাই চিরকৃতজ্ঞ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বায়োলজির মত একটা সাবজেক্টে এত্তো ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করে দেয়ার জন্য। আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রাজীব ভাই।
Rifat Ahmed Sunny
Dhaka Medical College
আসসালামু আলাইকুম। আমি রিফাত আহমেদ সানি। এক্স নটরডেম কলেজ, ঢাকা। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি ২০২১-২২ সেশনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ৮৫ তম স্থান অধিকার করেছি। এর জন্য আমি আমার পরিবার, আমার আব্বু, আমার আম্মু* , আমার বন্ধু , আমার শিক্ষক সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার এই সাফল্যের পেছনে অবদান অনেকের আছে। কিন্তু আমাকে মেডিক্যালের পথ দেখিয়েছে যে মানুষটা সেটা হচ্ছেন রাজীব ভাই। রাজীব ভাইয়ের ক্লাস গুলাই আমাকে বুঝিয়েছিলো যে বায়োলজি মুখস্থ করার বিষয় না। রসায়নের রস না থাকলেও বায়োলজিতে যে আছে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম। তখন থেকেই বায়োলজির প্রতি, মেডিক্যালের প্রতি ভালোবাসা জন্মানো । আর সবচেয়ে বড় কথা এক্সামের ঠিক আগ মুহুর্তে ভাইয়ার দেয়া ভিডিওগুলো আমাকে এক্সামের ১ ঘণ্টা সময় ফোকাসড থাকতে সাহায্য করেছে। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন একজন ভালো ডাক্তার হয়ে গর্ব করে বলতে পারি আমি রাজীব ভাইয়ার স্টুডেন্ট ছিলাম। The BEST Biology teacher in my entire life❤️ আমি একটু গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে লিখি কয়েকটা কথা। মেডিক্যাল এক্সাম শুধু মেধার পরীক্ষা নেয় না একজন শিক্ষার্থীর। এইখানে অনেকগুলা ফ্যাক্টর কাজ করে। আব্বু আম্মুর দোয়া + আত্মবিশ্বাস এই দুইটা থাকলে ৫০% চান্স হয়ে যায়। আর বাকিটা নিজের চেষ্টা,পরিশ্রম আর ভাগ্য। So, Be focused. Stay with The Haters to become a Lover
Meherin Rubaiyat Chowdhury
Dhaka Medical College
আমি মেহেরীন রুবাইয়াৎ চৌধুরী, ফেনী সরকারি কলেজের একজন সাবেক শিক্ষার্থী ২০২১-২২ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছি। একাডেমিক এবং এডমিশন বায়োলজির প্রস্তুতির জন্য আমি বায়োলজি হেটার্সের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। রাজিব ভাইয়ের অসাধারণ পড়ানোর ধরন নিয়ে তো বলে শেষ করা যাবে না।
Md. Shoaib
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical College
আসসালামু আলাইকুম। আমি মোঃ শোয়াইব। আমি ২০২১-২২ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ফরিদপুরে চান্স পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। বায়োলজি হেটার্সের সাথে আমার সম্পৃক্ততা প্রতিষ্ঠানটির প্রায় প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই। পাইলট প্রজেক্ট থেকে হান্টিং এমবিবিএস - একজন সেকেন্ড টাইমার হিসেবে প্রায় সবগুলো কোর্সেই আমি জয়েন করেছিলাম। আমার এডমিশন জার্নিতে ডাঃ রাজীব ভাইয়ের ক্লাস ছিল আমার সঙ্গী। আমি ক্লাস গুলো এনজয় করতাম। মটিভেট হতাম। সাহস পেতাম। বায়োলজি হেটার্সে আমি বায়োলজিকে যেভাবে ব্যাসিক-লজিকে শেখার সুযোগ পেয়েছি - সে সুযোগ অন্য কোথাও পাইনি। বায়োলজি হেটার্স দেশে বায়োলজি শেখার সবচেয়ে বড় এবং ব্যাতিক্রমী প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে বায়োলজি শেখানো হয় লজিক-বেসিক দিয়ে। গদবাধা মুখস্থ নয় ; কনসেপ্ট ক্লিয়ারের ব্যাপারটা এখানে প্রাধান্য পায়। ডাঃ রাজীব হোসাইন সরকার ভাই তার সুনিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলেন বায়োলজির ব্যাসিক আর লজিক। বায়োলজি যে নাবুঝে মুখস্থ করার কোন বিষয় নয় ; বায়োলজি যে শেখা যায় ব্যাসিক আর লজিক দিয়ে - ডাঃ রাজীব ভাই এই ধারনার প্রবর্তক। বায়োলজি হেটার্সের হাত ধরেই লজিক্যাল বায়োলজি শিক্ষার বিপ্লব ঘটেছে যার সুফল পেয়েছে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী। বায়োলজিকে যারা জানতে-বুঝতে-শিখতে চায় ; বায়োলজিকে যারা অনুভব করতে চায় - ঐ সব বায়োপ্রেমীদের আনাগোনা হোক বায়োলজি হেটার্স নামক ব্যাতিক্রমী এই প্লাটফর্মে। বায়োলজির লজিক ছড়িয়ে পড়ুক দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর দোরগোড়ায়। কেননা ' বায়োলজি ইজ বায়োলজিক
Akib Abdullah
Sir Salimullah Medical College
ছোটবেলা থেকেই একটা মিথ নিয়ে আমরা সবাই বড় হয়েছি, যে বায়োলজি শুধু মুখস্থ করা লাগে।৯-১০ থেকেই বায়োলজির অনেক কিছু না বুঝেই শুধু মুখস্থ করা লাগসে।ইন্টারের প্রথম দিকেও প্রায় একই অবস্থা ছিল।একদিন Be a sherlock in Biology গ্রুপে কয়েকটা ফ্রি ক্লাস পেলাম।ক্লাসগুলো অবশ্য আমার নজরে আসার আগেই পুরো সিরিজ শেষ হয়ে গিয়েছিল।রেকর্ডেড একটা ক্লাস শুরু করলাম।পুরো ক্লাস তখন একবারে শেষ করতে পারিনি।অর্ধেক ক্লাস করেই বুঝে গিয়েছিলাম বায়োলজি এর থেকে সুন্দর করে এর আগে বুঝাইনি।তখন গ্রিন রুম-১ লঞ্চ হয়েছিল মাত্র।ঐ অর্ধেক ক্লাস করেই রাজিব ভাইয়ার গ্রিন রুমে এনরোল করে ফেললাম।এরপরের জার্নিটা ছিল খুবই সুন্দর,এক্সাইটিং।রাজিব ভাইয়ার ক্লাস করে বায়োলজির প্রতি এক অন্যরকম ভালোলাগা সৃষ্টি। বায়োলজির পীর সেই প্রচলিত ধারণার মিথবাস্টিং করে দিলেন।বায়োলজিতে এভাবে লজিক্যালি এপ্রোচ করা যায় তা আমার ধারণার ও বাইরে ছিল।Just Awesome. যেই চাপ্টার গুলো ছিল ভীতির কারণ ঐ চাপ্টারগুলো পরিণত হলো ভালোবাসায়-যা এডমিশন সিজনেও খুব সহজ করেছিল আমার জার্নিটা,আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিদিন রাত ৯ টা ছিল এক ভয়ংকর আনন্দের সময়।পরীক্ষা।।। প্রশ্ন দাগাইতাম একটা উত্তর থাকতো আরেকটা।। রাজিব ভাইয়ার এই প্রশ্ন বায়োলজি আরো বেশি বেশি পড়ার জন্য ছিল অনুপ্রেরণা। বায়োলজি টিফিন সিরিজের কথা না বললেই নয়।।টিফিন সিরিজ পড়লেই মনে হত রাজিব ভাই নিজে সামনে থেকে ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড ধরে ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।রিভিশন বুকের প্রশ্ন গুলোও খুবই সুন্দর, ব্রেইনস্টর্মিং ছিল। বায়োলজির সিক্রেট বুক,স্ট্যাট বুক আর সিক্রেট ফাইলস ছিল এককথায় অসাধারণ। বিশেষ করে সিক্রেট ফাইলস প্রবলেম সলভিং, টাইম মেনেজমেন্ট ও নার্ভাস ব্রেকডাউন প্রতিরোধে অনেকটুকু হেল্প করেছিল আলহামদুলিল্লাহ। রাজিব ভাইয়াকে যত চিনেছি তত মুগ্ধ হয়েছি।বায়োলজি পীরের উসিলায় ইন্টার আর এডমিশনের বায়োলজি অনেকাংশে সহজ হয়ে গিয়েছিল। ভাইয়ার কিছু মোটিভেশান আর সাইকোলিক্যাল স্পিচ খুবই হেল্পফুল ছিল। নিচের ছবিটা ইন্টার সময়ের অক্টোবর,২০২২ এর ৫ তারিখের।এটা ছিল রাজিব ভাইয়ার পক্ষ থেকে গ্রিন রুম -৮ এর গিফট।অসংখ্য ধন্যবাদ রাজীব হোসাইন সরকার ভাইয়া। আগেই ধন্যবাদ জানানো উচিত ছিল।কিন্তু এইচএসসি আর এডমিশন এর ব্যস্ততার মাঝে আর বলা হয়নি মিস করি সেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লাস আর ভয়ানক সুন্দর এক্সামগুলো। আজিব্বাই ইনশাআল্লাহ একদিন দেখা হবে।চায়ের দাওয়াত রইলো, সাথে পুরান ঢাকার বিখ্যাত বিরিয়ানি
Sheikh Marufa
Sir Salimullah Medical College
আসলেই ঈদের মতন ছিলো ভাই!আড়াই ঘন্টা ক্লাসও কেম্নে কেম্নে শেষ হয়ে যাইতো।৪র্থ মান্থ থেকে আমিও পড়া শুরু করসিলাম।ফার্স্ট অনলাইন কোর্স।আমি তো শুধু রাজীব স্যারের কাছেই বায়োলজি শেষ করসি,আর কোথাও পড়ি নাই বায়োলজি।আর এখান থেকেই তোদের পাইসি
Muhammad Saad Khan
Rangpur Medical College
আসসালামু আলাইকুম, আমি মুহাম্মদ সা'দ খান।চট্টগ্রাম থেকে বলছি,( সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের ছাত্র আমি) এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আলহামদুলিল্লাহ রংপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছি(রংপুর আর্মি মেডিকেল কলেজেও চান্স পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ)। আমি ডা. রাজীব হোসাইন সরকার ভাইয়ার একজন ছাত্র, অনুরাগী, শিষ্য এবং ভাইয়ার ক্যাম্পাসের একজন ছোট ভাই । আমি খুবই কৃতজ্ঞ থাকবো যদি রাজীব ভাইয়া পোস্ট টা পড়েন এই পোস্টে আমি বায়োলজি হেটার্সের সাথে আমার যাত্রা (টিফিন প্রাণিবিজ্ঞান, টিফিন উদ্ভিদবিজ্ঞান,টিফিন প্রানিবিজ্ঞান:রিভিশন বুক,টিফন উদ্ভিদবিজ্ঞান:রিভিশন বুক) আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং আমার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বায়োলজি হেটার্সের সিক্রেট ফাইলস, সিক্রেট বুক, স্ট্যাট বুক ইত্যাদির ভূমিকা নিয়ে বলবো। যদি আমাকে বেছে নিতে বলা হয়, ২ টি প্রিয় সাব্জেক্ট এর নাম বলো, তাইলে চিন্তা ভাবনা ছাড়াই সেই ২ টি হলো ম্যাথ আর বায়োলজি,যদিও বা দুটি পরস্পর বিপরীত। আর বায়োলজি প্রিয় হবার পিছনে রাজীব ভাইয়া অন্যতম একজন কান্ডারী। রাজীব ভাইয়ার টিফিন সিরিজের বই গুলা পড়েই আমি বায়োলজির শব্দগুলা ভেংগে ভেংগে পড়ার আগ্রহ পেতাম, কী কেন কিভাবে হইসে এইগুলা উদঘাটনের ইচ্ছা জাগতো, যখন থেকে বায়োলজি হেটার্সের সংগে যুক্ত হতে পেরেছি ভার্চুুয়ালি, তখন থেকে শুধু একটা জিনিস মুগ্ধতার সাথে চেয়ে দেখতাম, একজন মানুষ কেমনে এত সুন্দর করে সবকিছু সুনিপুণ লজিক দিয়ে ব্যাখ্যা করে পড়ান,মা শা আল্লাহ। যদিও বা আমি রাজীব ভাইয়ার কোনো একাডেমিক কোর্সে যুক্ত ছিলাম না,সেইটার জন্য আফসোস আমার সবসময় থাকবে,এইখানে বলে রাখা ভালো,আমি অনলাইন মডেল টেস্ট ব্যাচ এর স্টুডেন্ট ছিলাম। এইচ এসসির সময়টাতে আমি ভাইয়ার লেখা টিফিন সিরিজের সকল বই কালেক্ট করসিলাম এবং বইগুলা পড়সিলাম, জুনিয়র যারা লেখাটি পড়ছেন,আপনাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে ভাইয়ার লেখা বইগুলা পড়বেন অবশ্যই, অনেক কিছু ফিল করতে পারবেন নতুন ভাবে,বিলিভ মি। সামনে ইন শা আল্লাহ ভাইয়ার বায়ো ডিকশনারি প্রকাশিত হবে, ঐ বই টাও আমি সংগ্রহ করবো ইন শা আল্লাহ। আর বায়োলজি হেটার্স ইউটিউব চ্যানেলে ভাইয়া রেগুলার বিভিন্ন ভিডিও দেন, ঐগুলোও অনেক বেশি হেল্পফুল, আমি উপকৃত হয়েছিলাম। টিফিন সিরিজের বই গুলো পড়ে একটা জিনিস আমার মধ্যে গ্রো করসিল, সেইটা হলো, বায়োলজি এমনকি কেমিস্ট্রির শব্দগুলোর উৎস খুজে বের করার তাগাদা অনুভব করতাম সর্বদা। রাজীব ভাইয়া শুধু বায়োলজি পড়ান না,তিনি একদম ঐ টপিকের উপর শিক্ষার্থীদের গভীর ভ্রমণ করিয়ে আনেন, ঐ টপিকে একজন শিক্ষার্থী দক্ষ না হয়ে পারেন না। একটা উদাহারন দেই, পত্ররন্ধ্রের প্রকারভেদ নিয়ে একটা ভিডিও করেছিলেন ভাইয়া, ঐটা দেখে পত্ররন্ধ্রের প্রকারভেদ এমন ভাবে ক্লিয়ার হইসিলো যে ঐটা আর দেখার দরকার হয় নাই পরবর্তীতে। ভাইয়ার পড়ানোর স্টাইল টা এমন যে, কোনো একটা টার্ম আসলো, ভাইয়া প্রথমে সেটিকে সন্ধি বিচ্ছেদের মতো ভেংগে দেখান, এরপর সেটির অর্থ ব্যাখ্যা করেন। তারপর কেন এমন হলো, পড়ার সাথে এইটা কেমনে রিলেটেড সেইটি ও ব্যাখা করে দেন। এখন আপনি বলুন এইটা আমার আত্মস্থ না হয়ে যাবে কই? ভাইয়া একবার উনার বাবার করোনারি স্টেন্টিং নিয়ে একটি লেখা লেখেছিলেন, আজও ঐ লেখাটি চোখে ভাসে, অল্প কয়েক লাইনে তিনি মনে হয় ডাক্তারি বিদ্যা আর সাহিত্যের অনবদ্য সমাহার ঘটিয়েছিলেন, ভাইয়ার লেখা গুলাও অনেক বেশি টাচিং, ভাইয়া আমি আপনার লেখা গুলাও ফলো করি,অনুকরণ করার চেষ্টা করি। এবার আসি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জার্নিতে। আমি স্বনামধন্য একটি এডমিশন কোচিং এর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচে ভর্তি ছিলাম। এইচএসসি লাইফের শুরু থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন ছিল, তবে বায়োলজির প্রতি অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করতো। এইচএসসি তে শর্ট সিলেবাস টা মোটামুটি ভালোভাবে পড়ার সুযোগ হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ। যাই হোক, এইচএসসি রেজাল্টের পর মেডিকেলের প্রস্তুতি নিই। ডিসেম্বর মাসেই আমি সিক্রেট ফাইলস, সিক্রেট বুক, স্ট্যাট বুক কালেক্ট করে নিয়েছিলাম আমি। ভাইয়া ইউটিউবে একটি ভিডিও তে বলেছিলেন যে কিভাবে এইটার বেস্ট ইউজ করা যেতে পারে, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু করতে বলেছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ শুরু করেছিলাম, তবে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রেপ নিচ্ছিলাম বলে একদম প্রতিদিন করতে পারতাম না, তবে করার চেষ্টা করতাম। আর আরেকটা কথা ভাইয়া বলতেন, যেন সকাল ১০ টার সময়ই সিক্রেট ফাইলস সলভ করি। মাঝে মধ্যে ওই টাইমে করতাম,মাঝে মধ্যে রাতে করতাম।শুরুতে নাম্বার ৪৫-৫০ এর ঘরে আসতো,রাজীব ভাইয়া উনার ভিডিও তে বলেছিলেন এরকম ই হবে। তবে এই যে নাম্বার কম পাওয়ার বিষয়টা আমার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দিন কাজে দিয়েছিল অনেক। তো ফেব্রুয়ারি মাসে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছলাম, মোটামুটি সিলেবাস শেষ করার পর নাম্বার আলহামদুলিল্লাহ ভালো আসতো ৭৫+ আসতো, তখন আমি বায়োলজি হেটার্স এ অনলাইনে মডেল টেস্ট দিতাম। ওই খানেও নাম্বার এমনই আসতো।পাশাপাশি আরো ২ জায়গায় মডেল টেস্ট দিতাম। শেষ ৭ দিন আমি নিয়মিত ৩ টা করে সিক্রেট ফাইলস সলভ করতাম, সকাল ১০ টার দিকে শুরু করতাম, শেষ পর্যন্ত মনে হয় ৫৮/৫৯ টা সলভ করেছিলাম সিক্রেট ফাইলস, সরি রাজীব ভাইয়া ৭১ টা সলভ করতে পারি নি। আলহামদুলিল্লাহ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দিন আল্লাহ আমাকে দিয়ে যতগুলো সঠিক বৃত্ত ভরাট ভরাট করিয়েছেন,আমি খুশি। ভর্তি পরীক্ষার দিন শুরুতে আমি মনে ৪৫-৫০ টা বৃত্ত ভরাট করেছিলাম, আর তখন আমার সিক্রেট ফাইলসের শুরুর দিকের কথা মনে পড়ে কেননা আমি শুরুর দিকে এমন নাম্বারই পেতাম, আর আমার এই টাইপের নাম্বার পেতে পেতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম( প্রথম ৩০ টা সিক্রেট ফাইলের আমার গড় নাম্বার ছিল ৪৫-৫০)। আলহামদুলিল্লাহ নার্ভাস হয় নি তখনো,এবং যতগুলো সম্ভব দাগিয়ে এসেছিলাম।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছিলেন। আর আমি স্টেট বুক এবং সিক্রেট বুক প্রায় পুরোটাই সলভ করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। জুনিয়র যারা এইটা পড়ছেন,আপনাদের জন্য পরামর্শ থাকবে অনেক উপকৃত হবেন ইন শা আল্লাহ। এই হলো আমার জার্নি, আর আলহামদুলিল্লাহ আমি মেডিকেলেই পড়বো, আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা দেই নি (এলিজিবল ছিলাম যদিও) পরিশেষে বলতে চাই, রাজীব ভাইয়া আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো আজীবন, ইন শা আল্লাহ আপনার কাছ থেকে আরো অনেক বায়োলজি শিখবো, আপনার লেখনী থেকে অনেক কিছু শিখবো ইন শা আল্লাহ । আপনি ইউটিউব চ্যানেলে মেডিকেল নিয়ে ২ টি ভিডিও দিয়েছিলেন, যদি সময় পান,অনুরোধ রইল আরো ভিডিও দিবেন। বর্তমানে আমি কুমিল্লা মেডিকেলে মাইগ্রেটেড হয়েছি, সবাই আপনাকে চা'এর দাওয়াত দিচ্ছে। ভাইয়া আমার পক্ষ থেকে রস মালাই এর দাওয়াত রইল।
Zunaid Bin Satter
Rajshahi Medical College
বায়োলজি হেটার্স। "হেটার্স", তাই বলে? হেটার্স না অ্যাডমায়ারার্স তা আমরা সবাইই বেশ বুঝি, এটা নিয়ে কোনো কথা এখন বলবো না। আজকের কথাগুলো শুধুমাত্র বায়োলজি হেটার্সের একটি নির্দিষ্ট সার্ভিস সম্পর্কেই। তো, এইচএসসির মধ্যেই শুনলাম যে বায়োলজি হেটার্স "টিফিনবক্স" নামক একটা সেট আনবে, যাতে সিক্রেটবুক, স্ট্যাটবুক এবং সিক্রেট ফাইলস থাকবে। সিক্রেটবুক আর স্ট্যাটবুক সম্পর্কে আমি কিছুটা জানতাম, কিন্তু সিক্রেট ফাইলস জিনিসটা আমার কাছে পুরোপুরি নতুন একটা কনসেপ্ট ছিলো। দেখলাম, যে এটি আসলে ৭১ সেট ওএমআরযুক্ত মডেল কোশ্চেন। এর বৈশিষ্ট্য হলো, প্রত্যেক সেটই অনন্য ও স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রতিদিন বায়োলজি হেটার্স ওয়েবসাইটে একটি করে সেটের সলভ প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে রাজীব স্যার একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন, মূলত কিভাবে ছাত্রছাত্রীরা এ সার্ভিসটাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে পারবে এ ব্যাপারে। স্যারের ইনস্ট্রাকশন ছিলো এমন, প্রত্যেক সেট সলভ করার সময় স্টপওয়াচ ব্যবহার করতে হবে এবং একটি আলাদা খাতায় প্রত্যেক সেটের প্রোগ্রেস লিখে রাখতে হবে। প্রতিদিন একটি করে সেট সলভ করতে হবে এবং প্রতিদিনের সেট দিনের মধ্যেই মিলিয়ে দেখতে হবে। এ কাজগুলোই আমি করার চেষ্টা করতাম। সাথে আমি নিজে অতিরিক্ত একটি কাজ করতাম। মোটামুটিভাবে ৩৫ নং সেট পর্যন্ত সলভ করার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পুনরায় ১ নং সেট থেকে প্রশ্ন সলভ করবো। অর্থাৎ, একইদিনে একটি নতুন সেট এবং একটি পুরাতন সেট সলভ করবো এবং উভয়ক্ষেত্রে আলাদা জায়গায় হিসাব লিখে রাখবো। এভাবে আমি ৭১ সেট নতুন এবং ৪১ সেট পুরাতন প্রশ্ন, মোট ১০২ সেট প্রশ্ন সলভ করেছিলাম, যার প্রত্যেকটির হিসাব খাতায় লিখে রেখেছিলাম। এক্ষেত্রে আমি বিভিন্ন রকমের এক্সপেরিমেন্ট করেছি, যেমন কম দাগানো, বেশি দাগানো, সবগুলো প্রশ্ন দাগানো, শুধুমাত্র জানা প্রশ্নগুলো দাগানো, এরকম। যা দেখলাম, প্রশ্ন বেশি দাগালে মার্ক খানিকটা বেশিই উঠে অন্যান্য স্ট্র্যাটেজির চাইতে। তাই বলে যে সব প্রশ্ন দাগালে সবসময় মার্ক বেশি আসবে এমনও নয়, তবে এ স্ট্র্যাটেজি ক্ষেত্রবিশেষে অবলম্বন করা যেতে পারে। বাকি স্ট্র্যাটেজিগুলো সঙ্গত কারণেই অবলম্বন করা উচিত নয়। যেমন আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বলে থাকি মেডিক্যালের জন্য বেশি দাগানো এবং এএফএমসির জন্য প্রায় সবগুলো প্রশ্ন দাগানোর স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন পরীক্ষার্থীর জন্য ভালো হতে পারে। আমি দেখেছিলাম, আমাদের সাথেকার পরীক্ষার্থীবৃন্দের প্রায় সকলেই অফলাইনে বিভিন্ন এক্সামব্যাচে ভর্তি হয়েছিলো। কিন্তু, মূলত এ সিক্রেট ফাইলের উপর ভরসা করেই আমি অফলাইনে কোনো এক্সামব্যাচে ভর্তি হওয়ার কথা চিন্তাও করিনি। কেননা আমি জানতাম, সিক্রেট ফাইলস নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারলে অন্তত আমার এক্সামরুম-ফোবিয়া অনেকাংশে কমে যাবে, যা আমি মেডিক্যাল এবং এএফএমসি ভর্তি পরীক্ষায় প্রমাণ পেয়েছি। এতদিন পর এসে দেখি, সিক্রেট ফাইল সার্ভিস আমার জন্য অফলাইন এক্সামব্যাচের চেয়ে কম কিছু করেনি, বরঞ্চ কিছুক্ষেত্রে বেশিই করেছে। স্ট্যাটবুক এবং সিক্রেটবুক এ দুটো জিনিস সম্পর্কে নতুন করে বলবার কিছু নেই, একজন পরীক্ষার্থীর শেষ মুহূর্তের বায়োলজি প্রস্তুতি ঝালাই করে নেবার জন্য এগুলো যথেষ্ট ইফেক্টিভ। বিশেষত স্ট্যাটবুক জিনিসটা ডাক্তারি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য সহায়ক। আর সিক্রেটবুক একদম শেষ মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ে নেবার জন্য পারফেক্ট। জানিনা, সিক্রেট ফাইল সার্ভিসটা এবারও সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে কিনা। তবে আমি চাই, আমাদের মত যারা অফলাইন এক্সামব্যাচে ভর্তি না হয়ে বাড়িতেই স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে চায়, তাদের কথা চিন্তা করে হলেও এ সার্ভিসটা, সাধারণভাবে টিফিনবক্স সার্ভিসটাই যেন ইন্ডেফিনিটলি বহাল রাখা হয়। এতদিন পর বায়োলজি হেটার্স নিয়ে কিছু লিখছি, পাঠক অবাক হতেই পারেন, এতবড় লেখা দেখে খানিকটা বিরক্তিবোধও করতে পারেন। আসলে সাদমান তাসিন ব্রাদারের লেখা দেখে সহসাই এতগুলো কথা মনে পড়লো.... রাজীব স্যার (সবাই বলেন আজিব্বাই, আমি নাহয় রাজীব স্যারই বললাম
Foysal Ahmed
Mugda Medical College
আসসালামু আলাইকুম হেটার্সবাসী। আসসালামু আলাইকুম আজিব্বাই(রাজীব হোসাইন সরকার) কোনো কারন ছাড়াই ব্যস্ত থাকায় দেরিতে কৃতজ্ঞতা পোস্ট দেওয়ার জন্য দু:খিত আজিব্বাই।কৃতজ্ঞতা যত দ্রুত শিকার করা যায় ততোই মঙলকর বলে জানি। বায়োলজি নিয়ে যে মিথ প্রচলিত ছিল সেই মিথ আমাকেও কাবু করেছিল।৯ম-১০ম এ আমার দ্বিতীয় অপছন্দের সাবজেক্ট ছিল বায়োলজি।ভাবতাম এই একটা সাইন্সের সাবজেক্ট যা সাইন্সের কাতারেই পড়ে না।খালি মুখস্ত আর মুখস্ত।আমার মনে আছে আমি কোষের ডেফিনেশন টা মুখস্ত করেছিলাম কিন্তু ইন্টারের আগ পর্যন্ত বুঝতে পারি নাই কোষটা আসলে কি? খায় না মাথায় দেয়? যাক এভাবেই এসএসসি দিয়ে দিলাম।গিলে পরীক্ষার হলে উগরে ফেলার মাধ্যমে। তারপর এইচএসসিতে এসে মনে হলো আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মহান পেশায় নিজেকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত।কিন্তু টেনশন ছিলো একটা এখানে তো বায়োই সব।তারপর নিজে নিজে শুরু করে দেই পড়া(ইউটিউবের সাহায্যে)। আর কিছু পড়তাম না পড়তাম বায়ো ডেইলি রুটিন থেকে সরতে দিতাম না।এভাবেই বুঝে, মুখস্ত করে চলছিল পড়া।কয়েকবার পড়ে ফেলার পর হঠাৎ একদিন রাজীব ভাইয়ের ফ্রি ক্লাশের একটা ভিডিও সামনে চলে আসে।যদি ভুলে না যাই সেটা ছিল পরিপাক অধ্যায়ের।আগ্রহ নিয়ে দেখলাম। দেখে ভাবি আহা বায়োও এইভাবে পড়া যায়?ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি,ম্যাথের মতো!তারপর ভাইয়ার ইউটিউব চ্যানেল গিয়ে যা ক্লাশ ছিলো সব দেখে ফেলি।কোনো কোর্স কিনার ইচ্ছা ছিল না কেননা আগেই যথেষ্ট টাইম বায়ো পড়া হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু ইউটিউবের ক্লাশগুলো দেখে আর থাকতে পারছিলাম না (কেননা সেখানে শুধু কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ের জাস্ট অল্প কয়টা ছিল)।আমার বায়োলজি লজিক দিয়ে জানার পিপাসা যথেষ্ট বেড়ে গেছিল।তখন ভাইয়ার একাডেমিক কোর্স সম্পর্কে জানা ছিল না।তাই দেখলাম ২১ ব্যাচের মেডিকেল ব্যাচ: হান্টিং এমবিবিএস চলতেছে।টুপ করে সেখানে ভর্তি হয়ে গেলাম।সাথে ভাইয়া ফ্রি দিয়ে দিলো BH Troops. সেটা থেকেই অ্যাকাডেমিকের মোটামুটি সব অধ্যায় নতুন চোখে দেখা শুরু করি।চোখ পাল্টাই নি, নতুন চশমাও লাগাই নি তবে অধ্যায়গুলোকে দেখার ধরন পালটে গিয়েছিল।এরপর থেকেই তো রাজীব ভাই হয়ে গেলো আমার বায়োপীর আমি হলাম ওনার মুরিদ(ছাত্র)। আমি বায়াত(শিক্ষা) নিতে থাকলাম। ধীরে ধীরে ২য় অপ্রিয় সাবজেক্ট হয়ে গেল ২য় প্রিয় সাবজেক্ট।এরই মাঝে আমাদের সময় মেঘা দুইটা এক্সাম হয় একটা পুরো রমজান জুড়ে ফিনিক্স ঈদ সালামী নামে।আর আরেকটা কুরবানীর ঈদে।দুইটাতে ভাগ্যক্রমে আমি যথাক্রমে ১ম ও ৩য় স্থান লাভ করি।আর ভাইয়ের থেকে জিতেই নেই ঈদ সালামি(এবার পাবো না বলে দু:খ ও লাগছে)।রাজীব ভাই একটা কথা সবসময় বলতো যে, আমার কোর্সে ভর্তি হয়ে তার থেকেও বেশি পুরষ্কার জিতে নিয়ে যাও।আমি বেশি পারি নাই তবে সমান সমান করে নিতে পেরেছিলামপায়সা উসুল টাইপ। লেখা দীর্ঘায়িত করবোনা(অলরেডি করে ফেলেছি)। আজিব্বাই মুগদা তো আশেপাশেই আছে।কখনো চায়ের আড্ডায় আপনার পাশে বসে চা খেতে পারলে ধন্য হতাম।
Khondoker Farhan Imtiaz Rafid
M Abdur Rahim Medical College
জীবনের পথ কখনো মসৃণ হয় না , করে নিতে হয়। আর এর পিছনের কারিগর যারা তাদের প্রতি আমার রইলো অসংখ্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা । তার মধ্যে অন্যতম একজন শ্রদ্ধেয় ডা. রাজীব হোসাইন সরকার স্যার। প্রথমবার যখন ভাগ্যের দরজা খুললো না , মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টার সময় এসে গেছে । বায়োলজি হেটার্স সব সময় পাশে ছিল । স্যার এর সিক্রেট ফাইল এর মতন মাস্টার প্ল্যানিং কত যে উপকারী ছিল টা শুধু চান্স পাওয়ার পর ই বুঝতে পেরেছিলাম । রাজীব স্যার এর ক্লাস গুলো আমাকে নতুন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে বায়োলজি ক্লাস এতটা ইন্টারেস্টিং হতে পারে ,এত সুন্দর করে একটা আরেকটার সাথে relate করে কত চমৎকার ভাবে সাজিয়ে পড়া যেতে পারে । বায়োলজি হেটার্স এর কোয়েশ্চন প্যাটার্ন ছিল সব চেয়ে সেরা । বেশিরভাগ থাকতো ট্রিকি কোয়েশ্চন , আর বেসিক ছিল মাস্ট। Without the clearance of basic , কখনোই ভালো নম্বর উঠানো যেত না। কিভাবে ওয়ার্ড ভেংগে যেকোনো জিনিস এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব সেটা প্রথমবারের মতন বুঝতে পেরেছিলাম স্যার এর কাছে । আর এ জন্যই এবারের MAT এ এমন কঠিন বায়োলজি কোয়েশ্চন হওয়া সত্বেও ৩০ এ ২৪ এর মতন correct দাগিয়ে আসতে পেরেছি । দীর্ঘ একটা বছরের ধৈর্য্য আর পরিশ্রমের ফসল আজকের এই সুন্দর দিনগুলো । কখনো ভুলবো না স্যার এর ক্লাসগুলো । কখনো ভুলবো না এমন একজন বায়োলজি স্যার আমি পেয়েছিল আমার জীবনের সব চেয়ে কঠিন তম সময়ে । আমি সব জুনিয়রদের বলি ,যদি বায়োলজি শিখতে চাও ,চলে এসো রাজীব স্যার এর ক্লাস এ । অসংখ্য অসংখ্য ভালোবাসা রইলো স্যার
Rehnuma Parvin Titir
Dhaka Medical College
আসসালামু আলাইকুম, আমি রেহনুমা পারভীন তিতির(জাতীয় মেধায় ১৪ তম)।বায়োলজি হেটার্স এর সাথে পথ চলা শুরু করি ২০২০ সালে, আমার কেনা সর্বপ্রথম অনলাইন কোর্স ছিল BH academic 4th month। স্যার রক্ত পড়িয়েছিলেন।বায়োলজি নিয়ে তখন বেশ প্যারা ফেস করতাম।অনেক কষ্টে প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস শেষ করেছিলাম।ভাবতাম আর যাই হই, ডাক্তার হবো না।তখন ই পরিচয় রাজীব স্যার এর লজিক বেসিক এর সাথে।প্রতিটা লাইন ভেংগে পড়াতেন স্যার, আলাদা করে মুখস্ত করতে হতো না।শব্দের অর্থ জানলেই যে পড়া অনেক খানি কমে যায় সেটা তখনই বুঝতে পারি।রাত ৯ টা BHian দের ইদের মতো ছিল।আমি, মারুফা আরো অনেকে একে অপরকে মেনশন দিতাম, লাইভ ক্লাসে ভয়ংকর দুষ্টুমি করতাম।নোট শেয়ার, Qbin এগুলোর কথা ভোলার মতো না।অনেক হেল্পফুল সিনিওর ও পেয়েছি এখান থেকে।এরপর BH troops, Hunting MBBS 1 এও ছিলাম(যদিও তখন প্রথম বর্ষে আমি)।সব ম্যাটেরিয়াল ছিল আমার টিফিন, রিভিশন বুক,স্ট্যাট বুক।আমার বেসিক BH এর অনলাইন কোর্স এর মাধ্যমেই তৈরি kind of.রেজাল্ট পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই স্যার কে জানিয়েছিলাম।সবার পোস্ট দেয়া দেখে মনে হলো আমিও লেখি একটু।
Kazi Hasan Mohammad Abdullah
Chattogram Medical College
আসসালামু আলাইকুম! লম্বা সময় এর স্যার কে নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা জাগলো। রাজিব স্যার কে আমি বেশিরভাগ সময় রাজিব ভাই (আজিব্বাই) ই ডাকতাম। অনেক আপন লাগে ভাইয়্যা লাগলে৷ এখানেও ভাইয়্যা বলেই না হয় সম্বোধন করলাম। সময় কিভাবে চলে যায়। প্রায় ২ বছর আগে এই গ্রুপ এর সাথে পথচলা শুরু। ইন্টার লাইফ এর শুরু থেকেই ইচ্ছা ছিল মেডিকেল নিয়ে পড়বো।কিন্তু পথ তো আর মসৃণ হয়না। এক থেকে দেড় বছর অনেক স্ট্রাগাল করা লাগলো। ফলাফল কিন্তু প্রায় শুন্য।একরকম বায়োলজি নিয়ে প্রায় হতাশ কেননা অন্যান্য সাব্জেক্ট ভালোই ফিল পেতাম কিন্তু বায়োলজি কেন যেন ফিল করতে পারতাম না! এভাবে চলতে চলতে একদিন এক ফ্রেন্ড বিএইচ কে সাজেস্ট করলো!তো রাজিব ভাই(আজিব্বাই) এর কিছু ক্লাস দেখলাম সার্লোক এ! মে তো ফিদা হো গেয়ি!আর তখন ই কিনা গ্রিন রুম কোর্স টা লঞ্চ হলো। আল্লাহ এর নাম নিয়ে শুরু করলাম৷ বাকিটা ইতিহাস। এক পর্যায়ে বায়োলজি পড়া টা নেশার মত হয়ে গেলো। ভাইয়্যা একাধিক রাইটার পড়া সবসময় প্রেফার করতেন৷ আমি যথাসম্ভব মান্য করার ট্রাই করতাম। ভাইয়্যা এর এক্সাম এর প্রশ্ন গুলো ছিল অনেক লজিক্যাল। পড়ানোর স্টাইল না হয় নাই বললাম। আমার অনলাইন জগতের সবচেয়ে বেশি সময় যদি আমি কোনো কোর্স এ থাকি তা ছিল এই বিএইচ গ্রিন রুম।। একটা মজার কথা মনে পড়লো! ভাইয়্যা যখন টিস্যু চাপ্টার পড়াচ্ছিলেন আমি কমেন্ট বক্সে বলেছিলাম স্যার এই চাপ্টার অনেক ভয় লাগে,আমাদের আপনি পীর বানিয়ে দেন!তারপর যা হবার তাই হলো৷ কোষ ও কোষের গঠন এর মতো বিরক্তিকর চাপ্টার যে এতো বেসিক + লজিক বেইসড পড়ানো যায় আমি আগে কল্পনাও করতে পারতাম না!শ্রেনীবিন্যাস চাপ্টার ছিল আরেক আতঙ্কের নাম যা ভালোবাসায় রুপান্তর করার কারিগর আমাদের রাজিব ভাই। বিএইচ এর সাথে এই লম্বা সময়ের পথচলায় আমি কিছুটা সৌভাগ্যবান। আমি আমার সব জুনিয়রদের বিএইচ রিকমেন্ড করি।সবশেষে বি এইচ এর মঙ্গল কামনা করছি! এখনো ভাইয়্যার সাথে দেখা হয় নাই। আশা করছি খুব শীঘ্রই দেখা হবে। আমার মেডিকেল ক্যাম্পাসে আপনার দাওয়াত রইলো।
Bishaw Kumar Paul
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical College
সকল প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার। তবুও যেকোনো সাফল্যের পিছনে কিছু মানুষের এমন অবদান থাকে যা প্রকাশ করার ভাষা থাকে না । জীবনে প্রতিটা শিক্ষক আমার জন্য শুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তবুও আজকে ভিন্ন একজনের কথা একটু বলতে চাই। এই যে আজকে দেখছেন আমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছি,জেনে অবাক হবেন এই কিছুদিন আগেও আমি বায়োলজি সাবজেক্ট টা দুই চোখে দেখতে পারতাম না। কিন্তু ইন্টার লাইফ শুরুতেই আমার দেখা হয়েছিলো এক বায়োলজির পীরের সাথে,❝ডা.রাজীব হোসাইন সরকার❞।কেন জানি তার প্রথম ক্লাসটাই এতো ভালো লাগছিলো যে তার পিছন আর ছাড়তে পারি নাই।বায়োলজিতেও যে লজিক আছে তা উনিই প্রথম শিখিয়েছেন।দুই বছরে আশ্চর্য জনক ভাবে আমি বায়োলজির মায়ায় পড়ে গেলাম অথচ আমি এটা বুঝতেও পারি নি। ছোটবেলার ইচ্ছা থেকে অ্যাডমিশনের জন্য ভর্তিও হলাম উদ্ভাস ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে।কিন্তু বায়োলজি আমি ছাড়তে পারি নাই। ১ মাস যাবার পর বুঝলাম আমি কোনদিকে যাইতেছি আসলে?চরম হতাশায় ডুবে গেলাম।প্রতিটা মানুষ যখন বলতো দুই নৌকায় পা দিস না তখন মাথার উপর আকাশ ভেঙে পরতো। এমন ও হইছে উদ্ভাসে কোচিং করা অবস্থায় ভাই বলে ফেলছে যে দুই নৌকায় কেউ পা দিও না,ঐ সময় থেকে পুরো ক্লাসে আমার মাথায় আর কিছুই ঢুকে নাই।অবশেষে আমার যেকোনো একটা বেছে নিতে হতো।যেহেতু বায়োলজি আমারে পেয়ে বসেছিলো তাই রিস্ক নিলাম ১ মাস পড়বো মেডিকেলের জন্য।তাতে যা হবার হবে । আমি জানতাম মেডিকেলে না হলে পরের দুই মাস আমার জন্য জাহান্নাম হয়ে যাবে তবুও বায়োলজি ছাড়তে পারলাম না, কারণ ঐযে সঙ্গদোষে লোহা ভাসে,রাজীব ভাইয়ের সঙ্গে আমিও বায়োলজিতে ভেসে গেছি। অবশেষে ভগবান আমাকে নিরাশ করেন নাই। তাই এই সাফল্যে এই মানুষটার নাম না নিলেই নয়।একজন ট্রু বায়োলজি হেটার্স কে বায়োলজির সাথে এভাবে জড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই মানুষটার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। Thanks a lot রাজীব হোসাইন সরকার ভাই। এবার চা না খাওয়ালে মামলা করবো